কুমিল্লায় এক মাছ ব্যবসায়ীর কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে তার স্ত্রীর বড় বোনকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ফারুক হোসেন (৪৮) নামে এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে নিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ফারুক হোসেন জেলার বরুড়া উপজেলার খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি। তিনি শ্রীরামপুর এলাকার রোশন আলীর ছেলে।
বরুড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, জেলার দেবিদ্বার উপজেলার বকরিকান্দি এলাকার সামছুল হক ব্যাপারীর ছেলে ফারুক হোসেন (৩৯) বরুড়া উপজেলার খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়নের বড় হরিপুর এলাকায় ৫ শতক জমি কিনে তাতে ঘর নির্মাণ করা শুরু করেন। যুবদল নেতা ফারুক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাছ ব্যবসায়ী ফারুকের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ব্যবসায়ী ফারুক চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে শুরু করেন যুবদল নেতা ফারুক।
এ ঘটনার জের ধরে গত ৩০ জুন মাছ ব্যবসায়ী ফারুকের বর্তমান ঠিকানা বরুড়া উপজেলার বড় হরিপুর এলাকার বসতবাড়িতে অজ্ঞাতনামা দুই সঙ্গী নিয়ে আসেন যুবদল নেতা ফারুক। এসেই দাবিকৃত দুই লাখ টাকা দিতে বলেন। এ সময় যুবদল নেতা ফারুক ও তার সঙ্গীরা ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ গালিগালাজ করতে থাকলে ওই ব্যবসায়ী বাধ্য হয়ে ১০ হাজার টাকা তুলে দেন যুবদল নেতা ফারুকের হাতে। এ সময় বাকি ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে না দিলে ক্ষতি হবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যান যুবদল নেতা ফারুক।
খবর পেয়ে ব্যবসায়ী ফারুকের স্ত্রীর বড় বোন তাদের বাড়িতে আসার জন্য রওনা হন। এ সময় যুবদল নেতা ফারুক পথিমধ্যে তাকে একা পেয়ে জাপটে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। পরে জোর করে পাশের একটি বাগানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ওই নারীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন যুবদল নেতা ফারুক ও তার সঙ্গীরা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী বাদী হয়ে বরুড়া থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর সোমবার অভিযান চালিয়ে যুবদল নেতা ফারুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওসি কাজী নাজমুল হক বলেন, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর মামলার পর ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে তোলা হবে। ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।