গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে কীটনাশক পান করে এক সন্তানের জননী সম্পা আক্তারের (২৩) আত্মহত্যার দাবি উঠেছে। তবে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে না তাকে হত্যা করে মুখে কীটনাশক ঢেলে দেয়া হয়েছে―এ নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জনসহ মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (১৩ জুলাই) বিকেলে পৌরশহরের শিমুলিয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়া ঘটেছে এ ঘটনা।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কিশোর-গাড়ী ইউনিয়নের কাতুলী গ্রামের ইসলাম মিয়ার মেয়ে সম্পা আক্তারের সঙ্গে পৌরশহরের শিমুলিয়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে মোনারুল ইসলাম মামুনের ৫ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটছিল। এরইমধ্যে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু গত কয়েক মাস আগে থেকেই অজ্ঞাত কারণে তাদের সংসারে পারিবারিক কলহসহ অশান্তির সৃষ্টি হয়।
এদিন বিকেলে গৃহবধূ সম্পা আক্তার বাড়ির সবার অজান্তে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করে বলে তার পরিবার জানায়। কিন্তু এলাকার কতিপয় অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্বামী মামুন তার স্ত্রী সম্পাকে বেদম প্রহার করে। এ সময় সম্পা মরণাপন্ন অবস্থা হলে বেগতিক দেখে তার মুখে কীটনাশক ঢেলে দিয়ে হত্যাকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে।
এ ঘটনায় খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুলফিকার আলী ভূট্টো বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সম্পা আত্মহত্যা করেছে না তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই তা জানা যাবে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে প্রাথমিক সূত্রে জানা যায়