বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, গণবিরোধিতার কারণে বিশেষ গোষ্ঠীকে দেশের মানুষ অনেক আগেই হলুদ কার্ড দেখিয়েছে। এবার মিডফোর্ডের হত্যাকান্ডে লালকার্ড দেখিয়েছে। সোমবার রাজধানীর পল্লবীর কমিউনিটি সেন্টারে ইউনিট দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল মিরপুর-১০ নম্বরে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে সেলিমউদ্দিন বলেন, প্রথাগত রাজনীতি খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি উপহার দিয়েছে। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে ইতিবাচক ও মৌলিক পরিবর্তন এসেছে। অপরাজনীতির ধারক- বাহকরা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে প্রলাপ বকছে। তাদের স্লোগান, ‘দিল্লি গেছে স্বৈরাচার, পিন্ডি যাবে রাজাকার’। এ স্লোগান বাস্তবায়ন হলে তাদেরই একদলকে দিল্লি এবং আরেক দলকে পিন্ডি যেতে হবে। কারণ, রাজাকারের তালিকায় তাদের নাম অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত সেলিম উদ্দিন বলেছেন, জুলাই বিপ্লবে যে পরিবর্তন এসেছিল, তাতে দলীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শুদ্ধ করা যেত। কিন্তু তারা সে পথে অগ্রসর না হয়ে দেশকে চাঁদাবাজের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। তাদের এখন স্লোগানই হলো, ‘চাঁদা দিলে পুরষ্কার, না দিলে বহিস্কার’।
মতবিনিময় সভা
জামায়াতের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান বলেছেন, আরেকটি যুদ্ধের জন্য আল্লাহ জুলাই যোদ্ধাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন। সেই চূড়ান্ত যুদ্ধ হচ্ছে আল্লাহর জমিনে দ্বীন কায়েম করা। যেখানে মানুষকে পাথর দিয়ে থেঁতলে থেঁতলে হত্যা করা হবে না, লাশ পুড়িয়ে দেবে না লাশের উপর নৃত্য করবে না। সোমবার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে জুলাই অভ্যুত্থানে পুঙ্গত্ববরণকারী যোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জামায়াত সন্ত্রাস, চাঁদাবাজে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায়, একটি দল সরাসরি জামায়াতের বিরুদ্ধে মিছিল করেছে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে কথা বললে তাদের গায়ে লাগে কেন?